রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় পিতার উপর হামলা: অবশেষে তিন বখাটে গ্রেপ্তার
রাজশাহী প্রতিনিধি:-রাজশাহীতে হিন্দু কলেজছাত্রীকে উত্তক্ত্যের প্রতিবাদ করায় বাবা-মায়ের ওপর হামলার ঘটনায় তিন বখাটে কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে: মিরাজ, ফরহার ও আখের। বুধবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে,বিচারের জন্য ৬ দিন থানায় ঘুরে পুলিশের কোন সহযোগিতা না পেয়ে বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ছাত্রীর বাবা নিল মাধব শাহা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনের পর অনলাইন মিডিয়া, সামাজিক গনমাধ্যমে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনকনড়ে প্রশাসনের।
এর পর সংবাদ সম্মেলনের দিন, দিবাগত রাতেই ইভটিজিং, শ্রীলতাহানি ও ঐ ছাত্রীর বাবা মায়ের ওপর হামলাকারী বখাটেদের গ্রেফতার করে র্যাব ৫।
উল্লেখ্য যে, মেয়েকে ইভটিজিং ও শ্রীলতাহানির প্রতিবাদ করায় ও ঐ ছাত্রীর বাবা মায়ের উপর চড়াও হয়ে মেরে আহত করে ছাত্রলীগের নামধারী মিরাজ প্রহার ও আখের । থানা পুলিশের ধারে ঘুরে বিচার না পেয়ে ছয় দিনের মাথায় রাজশাহীর সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ছাত্রীর পিতা নিল মাধবসাহা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন; আমার মেয়ে রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে কলেজে যাতায়াতের সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে এরফান খান মেরাজ (২২), সামদের ছেলে রুহুল আমিন সরকার প্রিন্স, আক্তারের ছেলে রবিন। এ নিয়ে গত ১২ আগস্ট সকালে প্রতিবাদ করেন নিল মাধব শাহা। এর পর ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা ওই বখাটেরা তাদের আরও চার-পাঁচজন সহযোগী নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে নিল মাধব শাহার পার্লারে গিয়ে হামলা চালায়। এসময় তাঁকে ছুরিকাঘাত ও হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে বখাটেরা। তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেল সোনা মিঞার স্ত্রী বন্ধনা রানী শাহাকেও মারপিট করা হয়।
পরে মাথায় ছুরিকাহত নিল মাধব শাহাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় ১২টি সেলায় রয়েছে এখনো। তবে ওই ঘটনার পরে নিল মাধব শাহা নগরীর মতিহার, চন্দ্রিমা ও রাজশাহী জিআরপি থানায় ঘুরছেন মামলার আশায়। কিন্তু পুলিশ মামলা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন; হামলাকারীরা নিজেদের ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকা দাঁপিয়ে বেড়ায়। এ কারণে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। আমরা হিন্দু মানুষ হওয়াই হয়তো আমাদের পক্ষে থাকছে না পুলিশ।
তবে নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন; এই ধরনের অভিযোগ আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ও তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।