রাজশাহীতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ দিয়ে শক্তি প্রদর্শন আ’লীগের
নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র একদিন পর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর রাজপথ দখলে ছিলো আওয়ামী লীগের। দুপুর থেকেই নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীদের খন্ড খন্ড মিছিল এসে জড়ো হয় কুমারপাড়াস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে। মিছিল শুরুর আগেই আলুপট্টি থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল।
দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত ও বিএনপি’র অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে স্মরণকালের বিশাল এই বিক্ষোভ মিছিলটি যখন ফায়ার সার্ভিস মোড় প্রদক্ষিণ করে তখনও মিছিলের শেষ অংশটি ছিলো জিরো পয়েন্টে।
বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলের অগ্রভাগের লোকেই কানায় কানায় ভরে যায় জিরো পয়েন্টসহ আশে পাশের এলাকা।
বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সভাপতিত্ব করেন।
সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন সমাবেশে বলেন, বিজয়ের এই মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর বিশালমত মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করলো। এই মানুষগুলোকে মাদ্রাসা মাঠে ঢোকালে মাদ্রাসা মাঠ ভরপুর হয়ে যাবে। যেইটার জন্য বিএনপি কয়েকদিন ধরে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে রাজশাহীর আটটি জেলা ভাড়া করে লোকজন নিয়ে এসে তারা মাঠে ভর্তি করে দেখাতে চায়। আসুন-দেখুন, মাত্র একদিনের নোটিশে আমরা কী রকম বড় মিছিল ও সমাবেশ করতে পারি। আমরা শুধুমাত্র রাজশাহী মহানগর এই আয়োজন করেছি। রাজশাহী জেলা ও অন্যান্য জেলাকে আলাদাভাবে প্রোগ্রাম করতে বলেছি। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগ মানেই জনগণের সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিল তিল করে তাঁর যৌবনের সমস্ত উত্তাপ দিয়ে তিনি দলটিকে সুসংগঠিত করেছিলেন। সেই দল আওয়ামী লীগকে দুর্বল ভাবেন না, শেখ হাসিনাকে দুর্বল ভাবেন না।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমনসহ নগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।