রাজশাহীর চারটি পৌরসভার তিনটি নৌকা ও একটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী র জয়

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : চতুর্থ ধাপে রাজশাহীর ৪টি পৌরসভা
গৌদাগাড়ী, তানোর, তাহেরপুর ও নওহাটা য় রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করে।

বিজয়ীরা হলেন, গোদাগাড়ীতে মনিরুল ইসলাম বাবু, তানোরে ইমরুল হক, তাহেরপুরে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও নওহাটায় হাফিজুর রহমান হাফিজ।
গোদাগাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুল ইসলাম বাবু বিজয়ী হন। দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৮১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত গোলাম কিবরিয়া রুলু ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৯২ ভোট।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলহাজ অয়েজ উদ্দীন বিশ্বাস পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪ ভোট। জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. ওবাইদুল্লাহ জগ প্রতীকে ৩ হাজার ৭৭৪ ভোট পেয়েছেন।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচন পরিস্থিতি সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বাভাবিক ছিল। কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৯০ ভাগ ভোটার উপস্থিতি ছিল।।
তাহেরপুর পৌরসভায় তৃতীয়বারের মত বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। নৌকা প্রতীকে ১০ হাজার ৮৩৯টি ভোট পেয়েছেন তিনি।
অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী আ.ন.ম সামসুর রহমান মিন্টু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯০৩টি ভোট। যদিও দুপুর আড়াইটার দিকে নির্বাচনে ভয়ভীতি প্রদর্শন, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া ও কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন সামসুর রহমান মিন্টু।
তানোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ইমরুল হক নৌকা প্রতীকে ১২ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপির মিজানুর রহমান মিজান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২১৭ ভোট। আর বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মালেক নারিকেল গাছ প্রতীকে ২৪৫ ভোট পেয়েছেন।
ভোট গণনা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তানোর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
মেয়র থেকেও নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ জানতে চাইলে মিজান বলেন, আমার দল বিএনপি ক্ষমতায় নেই দীর্ঘদিন। যার ফলে আমি মেয়র হয়েও পৌর এলাকায় ভালো উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারিনি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল, কিন্তু তারপরও বলব, আমার এটা ব্যর্থতা। এলাকার যেন উন্নয়ন হয় সেই কারণেই মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছেন।
নির্বাচন নিয়ে কোনো আপত্তি নেই বলেও বিএনপির এই প্রার্থী। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
দীর্ঘ ২৬ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত তানোর পৌরসভায় এই প্রথম আওয়ামী লীগের কোনো নেতা মেয়র নির্বাচিত হলেন। উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা এই পৌরসভাটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত। নবনির্বাচিত মেয়র ইমরুল হককে নিয়েই এখন উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন পৌরবাসী।
নওহাটা পৌরসভায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ নির্বাচিত হয়েছেন। ১৪ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়েছেন হাফিজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল বারী খান নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৮৬ ভোট। আর বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ মো. মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৭ হাজার ২৭৯ ভোট।

পোস্টটি শেয়ার করুন