

ডেস্ক নিউজঃ প্রথমবারের মতো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় পালনা করা হলো “শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুন্নবী দিবস”।
বৃহস্পতিবার তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্মরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ জামিল রহমান,রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ নওশাদ আলী, উপাধ্যক্ষ ডাঃ হাবিবুল্লাহ সরকার,প্রফেসর ডাঃ হারুন রশীদ ,রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ মোমিনুল ইসলাম,রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ মোঃ মোঃ মিজানুর রহমান মিজান এবং সাধারন সম্পাদক ডা: মেনন দাসসহ রামেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুন্নবী কে??
কাজী নুরুন্নবী। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ৭ম এম.বি.বি.এস (শিক্ষাবর্ষ ১৯৬৫-৬৬) এর ছাত্র। তার ডাকনাম বাবলু নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। পিতা কাজী সাখাওয়াত হোসেন এবং মাতা নুরুস সাবাহ রোকেয়ার সন্তান তিনি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অঙ্গনের অত্যন্ত চেনা একটি মুখ। একজন সংগ্রামী ছাত্র নেতা।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের অগ্রনায়ক। ভয় কি জিনিস তিনি জানতেন না। প্রথম বর্ষ থেকে পঞ্চম বর্ষ পর্যন্ত তিনি অধিকার আদায়ের বিপ্লবী যোদ্ধা। জল্লাদ ইয়াহিয়ার পাকবাহিনী অধিকৃত আমলে তিনি সম্পূর্ণভাবে অসহযোগিতা করেন। এমনি সময়ে পঞ্চম বর্ষেও পরীক্ষা শুরু হলো। তিনি পরীক্ষা দানে বিরত রইলেন। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার নঁওগা মহকুমার কাজী পাড়ায়। ১৯৭০ সালে শেষ বর্ষের ছাত্র নুরুন্নবী রাজশাহীতে ইপিআর এর সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দেন। পরবর্তিতে প্রশিক্ষণ শেষে আগস্টের মাঝামাঝি একদল মুক্তিযোদ্ধার লিডার হিসেবে বাংলাদেশে ফেরত আসেন। মুজিব বাহিনী রাজশাহীর প্রধান ছিলেন তিনি।
১ অক্টোবর ১৯৭১ সালে তার বাহিনী নিয়ে প্রথমে রাজশাহী শহরে, পরে খোকন নামের এক সহযোদ্ধাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ যান। ফিরে আসার সময় ফায়ার ব্রিগেডের কাছে তৎকালীন ছাত্রসংঘের ( বর্তমান ইসলামি ছাত্র শিবির ) সহায়তায় তারই অবাঙালি অধ্যাপক ডা. করিম সেক্কর তাকে আটক করে পাকিস্তানী আর্মির গাড়িতে তুলে দেয়। খোকন পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তাকে রাবির জোহা হলে নিয়ে যাওয়া হয় বন্দী করে।
বাবলু (কাজী নুরুন্নবী) আর ফিরে আসেননি।