আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী): ১৩ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর আম রাজধানী ঢাকায় পরিবহনের জন্য উদ্বোধন করা হয়েছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। ট্রেনটিতে প্রথম দিনে ৩৩ হাজার কেজি আম পরিবহনে আয় হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা। আর ট্রেনটির একদিনের খরচ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। লোকসান ৮২ হাজার টাকা। এই লোকসানের ঘানি টেনে রেল কর্তৃপক্ষ কেন স্পেশাল ট্রেন চালু করলেন? এ প্রশ্ন খোদ রেলওয়ের কর্মচারী ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতাদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ে রাজশাহীর এক শ্রমিক লীগ নেতা বলেন, গত আম মৌসুমে চলতি মৌসুমের ৪ গুন আমের ফলন ছিলো। তবুও লাভের মূখ দেখেনি ম্যাঙ্গ স্পেশনাল ট্রেনটি।
এবার আমের উৎপাদন গত বছরের একচতুর্থাংশ জেনেও রেল কতৃপক্ষ কেন ট্রেনটি চালু করলেন তা তাদের বোধগম্য নয়।
রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মোঃ: রমজান আলী বলেন, এবার আমের উৎপাদন কম জেনেও ট্রেনটি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি। প্রথম দিনেই। ট্রেনটিতে লস হয়েছে প্রায় পৌনে ১ লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, যে পরিমাণ আম পরিবহন হচ্ছে তা আন্তঃনগর ট্রেনের লাগেজ ভ্যানে এবং ঢাকা মেইল ট্রেনে পাঠানো যেত। অথবা ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের সঙ্গে আরো পাঁচটি যাত্রীবাহী বগি লাগিয়ে যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব ছিল। এতে যাত্রী পরিবহনেই ২লাখ টাকা আয় হতো।
একটি সূত্র জানায়, রেলের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তার আম পরিবহনের জন্য ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। সে কারণে লোকসানের বোঝা বাড়বে জেনেও আম মৌসুমের মাঝামাঝিতে অর্থাৎ অসময়ে ম্যাংগো ট্রেনটি চালানো হল।
রাজশাহী রেলওয়ে বুকিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৩ জুন ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের চালুর প্রথম দিনে, ১৫৩৬, ক্যারেটে ৩২,৩৯০ কেজি আম পরিবহন করে ট্রেনটিতে আয় হয়েছে ৩৭,৬৪৩ টাকা। আর ট্রেনটি চালানোতে প্রতিদিনে ব্যায় ১লাখ ২০ হাজার টাকা।
এই লোকশানের এর দায়ভার কার? জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম অসীম কুমার তালুকদার বলেন, এ বছর লোকসান হবে আগেই শঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে প্রয়োজনে দুই-একদিনের মধ্যেই ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হবে।