নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে নগরীর ইন্সটিটিউট অব হেলথ্ টেকনোলজিতে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. অর্ণা জামান বলেন; “আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। আমরা জানি প্রতিটি জন্মদিন নিঃসন্দেহে অনেক আনন্দের তবে আজ আমরা আনন্দিত হতে পারছি না কারণ যার জন্মদিন উপলক্ষে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি তিনি আমাদের মাঝে নেই। এই মাসেই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় সারা পৃথিবীর কাছে এক কালো অধ্যায়। শেখ কামাল একজন খুব সাধারণ ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তার জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি এতটাই সাধারণ জীবন-যাপন করতেন যে তিনি নিজে কখনো পরিচয় না দিলে কেউ বুঝতেই পারতেন না যে তিনি বঙ্গবন্ধুর সন্তান।”
তিনি আরও বলেন, শেখ কামাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লেফট্যানেন্ট হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও আমরা সকলে জানি তিনি একজন ক্রীড়াবীদ ছিলেন। সঙ্গীতাঙ্গনেও তার অবদান ছিল। তিনি সেতারা বাজাতে ভালোবাসতেন। তাই শেখ কামাল ও তার পরিবাবের সকলের থেকেই আমাদের শেখার শেষ নেই। তার পরিবারের সকল সদস্যই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন, তবু তাদের মাঝে কোন অহংকার ছিলো না। তাদের শিক্ষা আমাদের বিনয়ী করতে শেখায়। তারা সর্বদা দেশের হয়ে কল্যাণকর কাজ করে গেছেন। তাই এই মাসে আমরা তাদের জন্য দোয়া করবো এবং শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করবো।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীব।
আলোচনা সভা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ কামালসহ পরিবারের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।