সহপাঠীর মৃত্যুতে গর্জে উঠেছে রাবি শিক্ষার্থীরা; এমপি বাদশার কুশপুত্তলিকা দাহ

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলা ও কালক্ষেপণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র এম জি এম শাহরিয়ারের মৃত্যুর অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সাথে গত শনিবার রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার রাবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়

আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আন্দোলন আরো প্রকট আকার ধারণ করে। এর আগে বিভিন্ন বিভাগ ও হল থেকে স্লোগানে স্লোগানে মেইন গেটের সামনে এসে জড়ো হয় শত শত শিক্ষার্থী। এসময় রাস্তার দুইপাশে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর আনসার ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের উপর হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ এবং এমপি বাদশার বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

মানববন্ধন থেকে নয় দফা দাবি পেশ করা হয়, সেগুলো হলো:
১. শাহরিয়ারের মরদেহের পাশে অবস্থানকালে তার সহপাঠীদের ওপর নৃশংস হামলায় এবং হত্যাচেষ্টায় জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং আনসারদের অতিদ্রুত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।

২. রামেকের পরিচালক শামীম ইয়াজদানীর অসংলগ্ন আচরণ ও প্রত্যক্ষ মদদে বর্বরোচিত হামলার ঘটনাটি ঘটে। তাকে অপসারণ করতে হবে।

৩. রামেকের অব্যবস্থাপনা ও জরুরি মুহূর্তে ফর্মালিটিজের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানি, চাঁদাবাজি ও ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ বন্ধ করতে হবে।

৪. রামেকে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। চিকিৎসকদের দোষ ওয়ার্ডবয়দের ওপর, ওয়ার্ডবয়দের দোষ চিকিৎসকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি আর চলবে না।

৫. এমপি ফজলে হোসেন বাদশার অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

৬. ইন্টার্ন চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাচারিতা, রোগী ও রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, অভিযোগ জানাতে গেলে অভিবাবকদের ওপর অস্ত্রোপাচার সামগ্রী দিয়ে আক্রমণের বদোভ্যাস পরিহার করতে হবে। সর্বোপরি মানবিক ও আন্তরিক হতে হবে।

৭. জরুরি বিভাগে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তারদের দায়িত্ব চলাকালীন সময়ে নার্স/ওয়ার্ডবয় দিয়ে প্রক্সি দেওয়ানো চলবে না।

৮. আইসিউ ব্যবস্থা সহজ করতে হবে। ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সিগনেচারের নামে টালবাহানা করে যে কালক্ষেপণ করা হল তা দ্বিতীয় কারও সাথে করা হবে না, এই নিশ্চয়তা দিতে হবে৷

৯. অনতিবিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে হবে। রামেকের ডাক্তার-নার্সরা মনগড়া, বানোয়াট, কাল্পনিক, অসত্য যে ঘটনা সাজিয়েছে তার চিত্র প্রকাশ করে সবাইকে প্রকৃত সত্য ঘটনা জানার সুযোগ করে দিতে হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন