সামাজিক সচেতনতা-ই কুতথ্য রোধে’র প্রধান হাতিয়ার

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩

রাজশাহী প্রতিনিধি: সামাজিক সচেতনতা আর তথ্য যাচাইয়ের সঠিক পদ্ধতি-ই পারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুতথ্য রোধ করতে।এমনটি-ই জানা গেছে রাজশাহীতে সুশাসনের প্রচারের জন্য ডিজিটাল অপতৎপরতা মোকাবেলায় কর্মশালা ও প্রচারণায়।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর কাজীহাটা এনজিও ফোরাম সম্মেলন কক্ষে ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট’র (আইইডি) সহযোগিতায় এশিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং জনউদ্যোগের অংশগ্রহনে এ কর্মশালা ও প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জনউদ্যোগ রাজশাহীর সদস্য সচিব অধ্যক্ষ জুলফিকার আহমেদ’র সভাপতিত্বে ও “কুতথ্য থামাও এখনই” আন্দোলনের সিয়াম সারোয়ার জামিল’র তত্বাবধানেক কর্মশালায় “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুতথ্য থামাও, জীবন বাঁচাও দেশ বাঁচাও” স্লোগানকে সামনে রেখে তারা বলেন,আধুনিক সমাজে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সম্পর্ক ও তথ্য বিনিময়ের নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। ষোল কোটি মানুষের সাড়ে এগারো কোটির মুঠোফোনেই ইন্টারনেট। যার মধ্যে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো, টিটটক, ইউটিউব ব্যবহারকারী। নতুন এই ভার্চুয়াল যুগের সাথে খাপ খাওয়াতে মনোজগতের পরিবর্তন ও সক্ষমতা জরুরি। শান্তি,সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের এই দেশে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী-ধর্ম-বর্ণ-স্তর-লিঙ্গের মানুষ মিলেমিশে বাস করে। এই বৈচিত্র্য সমাজের সম্পদ ও ঐতিহ্য। কিন্তু অনেক সময় নিয়ম না মেনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, কুতথ্য, ভুলতথ্য, কূটতথ্য, মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে সমাজে সম্প্রীতি নষ্ট ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়।ফলে বিভিন্ন স্থানে অযাচিত বিরোধ, দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে অবিশ্বাস, অসহিষ্ণুতা, অসন্তোষ, নিরাপত্তাহীনতা।এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক হওয়া জরুরি।সমাজে চিরায়ত সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কে সকলের জানাবোঝা প্রয়োজন। তাই ব্যক্তি, পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দিয়ে সুশাসন, সমমর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় সচেতন ও দায়িত্বশীল হয়ে সবাইকে কুতথ্য প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন; রাসিক ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ রাজকুমার সরকার, আদিবাসী নেতা আন্দ্রিয়াস বিশ্বাস, নারী নেত্রী সেলিনা বানু, সাংস্কৃতিক কর্মী সন্তোষ কুমার, তরুণ ধর সহ সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

পোস্টটি শেয়ার করুন