নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কাহিনী নিয়ে তৈরী ভ্রম্যমান রেল যাদুঘরটি দেশর গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর। এ জাদুঘর অবলোকন করে মুগ্ধ হচ্ছেন শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন। এতে তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে পারছেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষো বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ ট্রেনের বগিতে, বিশেষভাবে সাজানো একটি বগিতে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর। বাকি দুটি বগি দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টদের জন্য বরাদ্দ। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন উঠে এসেছে এ জাদুঘরের প্রদর্শনীতে। জাদুঘরের নান্দনিক সাজ আগতদের বেশ আকৃষ্ট করেছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিটি বেশ পরিপাটি। সেই বিশেষ বগিটিতে উঠতেই কানে আসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। দরজার পাশেই মুজিব শতবর্ষের লোগোসহ বঙ্গবন্ধুর ছবি। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবনসংগ্রাম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে। আবছা আলোয় বেশ সুন্দর দেখায় এসব ছবি।
ভ্রাম্যমান রেলের যাদুঘরটিতে বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃক বাড়ি, জাতির জনকের সমাধিস্থল, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, মুজিব কোট, বঙ্গবন্ধুর চশমা, মুজিবনগর, স্মৃতিসৌধ ইত্যাদির ছবি ও প্রতিচ্ছবি রয়েছে জাদুঘরটিতে। এছাড়ও প্রদর্শিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনসংগ্রাম নিয়ে ভিডিও। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কিছু বই দিয়ে সাজানো হয়েছে জাদুঘরটির একটি তাকে।
বিভিন্ন বয়সের অনেক মানুষ আসছেন জাদুঘরটি দেখতে। বেশ সাড়া ফেলেছে এ জাদুঘরটি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ও বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিনা প্রবেশ ফিতে দর্শনার্থীরা এ যাদুঘর দেখতে পারবেন।
পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপ অসীম কুমার তালুকদার বলেন,এ-ই জাদুঘরের মধ্য দিয়ে বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে আরো ভালো করে জানতে পারবে। এ ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর বিষয়ে আরো প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি জানান, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে রেলের ভ্রাম্যমান জাদুঘরটি রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ রেল স্টেশনে পরিদর্শিত হবে।
উল্লেখ্য, ১০০ মিটার লম্বার দুটি বিশেষ বগিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাদুঘর করা হয়। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও দেশ সম্পর্কে আরো বেশি জানাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নেয়।
রেল বিভাগের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।