ট্রিবিউন ডেস্ক: অবিরাম ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারনে এক মাসের ব্যবধানে সিলেটে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহতে রূপ নিচ্ছে। ভেঙেছে আগের সব রেকর্ড। উজান থেকে আসা ঢলে এই বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা বর্তমানে পানির নিচে। এরইমধ্যে সারা দেশেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। পুর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় রেকর্ড পরিমাণ ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে ওই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৮ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে। পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হওয়ার সাথে বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া আজ সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশেই বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সময়ে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে, ২৩৯ মিলিমিটার। এছাড়া কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১৩৫, ময়মনসিংহে ১২৭, নেত্রকোনায় ২০৬, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৮৮ ও সিলেটে ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এসময় ঢাকায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে, ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, অতিভারি বৃষ্টির কারণে সিলেটের বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় শনিবার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।