

অসহায় শিক্ষার্থীর পাশে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষঃ
গতকাল অর্থাভাবে রণির ভর্তির পর আজ রিপন হোসেন নামের একজন খুব মেধাবী শিক্ষার্থী জীর্ণ সার্ট-প্যান্ট ও পায়ে এক জোড়া অতি সাধারণ স্পঞ্জ স্যান্ডেল পরিহিত অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অধ্যক্ষের কক্ষে উপস্থিত হয়ে যে দুঃখের ইতিহাস শুনালো সেটি যেমন অতি কষ্টের তেমনি আমার কাছে অনেকটা আনন্দেরও বটে।
বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় চলে যাবার পর আগের পরিবারের দীর্ঘদিন খবর নেয় না। সহায় সম্বলহীন মা নওগাঁর মান্দা উপজেলার এক নিভৃত পল্লীগ্রামে অন্যের ছোট্ট একটি কারখানায় বিড়ি বাঁধাইয়ের কাজ করে সংসার ও ছেলের পড়ালেখা চালান।ছেলেটি গত বছরও রাজশাহী কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে মা তাঁর ছেলেটিকে রাজশাহীতে পড়ার সাহস নেন নি।এবার রাজশাহী কলেজে আবারও ভর্তির সুযোগ আর হাতছাড়া করতে চান নি তার অভাগিনী মা।
এবার সাহসের উৎস ছেলেটির কাছে জানতে চাইলে সে জানালো, তাদের এলাকার রাজশাহী কলেজের একজন শিক্ষকের কাছে জেনেছে, রাজশাহী কলেজ হতে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের বিশেষ সহায়তা করা হয়।
যে অর্থে আনন্দের প্রসঙ্গটি টেনেছিলাম,সেটি হল – মা বেঁচে থাকা অবধি ছেলেটি পড়ালেখা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করে বিড়ি কারখানা থেকে মাকে মুক্ত করে ন্যূনতম নির্মল হাসি ফোটাতে পারে সে অপেক্ষার প্রহর গুণতে কার না ভাল লাগে।
সংগৃহীতঃ রাজশাহী কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষ
প্রফেসর মহাঃ হবিবুর রহমান স্যারের
ফেসবুক পোস্ট থেকে।