স্বাস্থ্যখাতে শুদ্ধি অভিযান হোক তবে নিরপরাধীকে যেন অপরাধী সাজানো না হয়

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২০

সরকারের যেকোনো শুদ্ধি অভিযানে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে নিরপরাধীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। বর্তমান স্বাস্থ্যখাতে যে অভিযান সেখানে সামান্য মাস্ক সরবরাহ কারী প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগের দুর্দিনের নেত্রী শারমিন জাহান আপাকেও সেভাবেই ফাঁসানো হয়েছে। মাস্ক সরবরাহ কারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নয় তারা শুধুমাত্র সরবরাহ কারী এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও জানে। মাত্র ১৯ লাখ টাকার মাস্ক সরবরাহ করেছে অপরাজিতা, সরবরাহকৃত হাজার হাজার মাস্কের ভিতর কিছু মাস্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা গুনগত মানের সমস্যা হতেই পারে।অপরাজিতা কিন্তু নৈতিক কারণে নষ্ট মাস্কগুলোর বিলও বাদ দিয়েছেন। অথচ স্বাস্থ্য খাতে শত শত কোটি টাকা লোপাট কারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর বিপক্ষে কেউ লাগেনা, লাখ লাখ ভূয়া এনআই-মাস্ক সরবরাহকারী জেএমআই এর কেউ গ্রেফতার হয় না।
বড় বড় প্রতারক প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে অপরাজিতা কে ফাঁসানো হলো।
আমরা দিনদিন নিজেদের পেছনে এত বেশি লেগে পড়ছি যে জাত ভাই এর সৎভাবে উপার্জন দেখে হিংসায় ক্ষতি করার প্রতিযোগিতা চলছে।
অথচ কোটি কোটি টাকার কাজ বিএনপি জামাত ঘেঁষা ঠিকাদাররা প্রতিনিয়ত সরকারের কাছ থেকে বাগিয়ে নিচ্ছে সেই খবরটা পর্যন্ত আমরা রাখি না।
ক্ষমতা আর অর্থের কেন্দ্র বিন্দুতে আওয়ামী বিরোধী মুখোশধারী রাজাকাররা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়।অভিযানকে ঘিরে নতুন কি ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে না।
কারণ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও অনেক মুখোশধারীরা নীতি নির্ধারক পর্যায়ে বসে আছে।
তারা আসল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বঞ্চনা আর কষ্ট প্রধানমন্ত্রী কে জানতে দেন না।
প্রতারক সাহেদ,সাবরিনা দের সাথে শুধুমাত্র শত্রুতা অার হিংসা র কারণে নিরপরাধ ব্যক্তিকেও মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
একযুগ ধরে দল ক্ষমতায় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু সব জায়গায় লেবাসধারীদের দখলে চলে গেছে। একা প্রধানমন্ত্রী কত সামলাবেন। সাহেদের মত জাত প্রতারককে ধরতেও প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশনা লাগে। কিন্তু ছাত্রলীগের দুর্দিনের নেত্রী শারমিন জাহানকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে ধরতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ লাগে না তাদের। চাকুরি সূত্রে আর নিজের ব্যবসার স্বার্থে এখন অনেকেই বড় আওয়ামী লীগার।কিন্তু ভিতরে এদের দলীয় লোকজনের প্রতি বিদ্বেষ হিংসা কাজ করে।
নেতাকর্মীদের দীর্ঘশ্বাস জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছতে দেয় না লেবাসধারীরা।
স্বাস্থ্যখাতে শুদ্ধি অভিযান হোক তাদের বিরুদ্ধে যারা শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে স্বাস্থ্যখাতকে ধ্বংস করেছে।অভিযান হোক সাহেদ-সাবরিনাদের মত গংদের ধরতে কিন্তু এই অভিযানে নিরপরাধ কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান কে যেন ফাঁসানো না হয়।


লেখকঃ মুঃ আতিকুর রহমান সুমন
সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও সহ-সভাপতি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা।

পোস্টটি শেয়ার করুন