হারানো মোটর সাইকেল ফিরে পায়নি রাজশাহীর স্বপন

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার: বাবার কিনে দেয়া মোটর সাইকেল হারিয়ে আইনী সহায়তায় ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ করে স্বপন ইসলাম (২৬)। অল্প সময়ের ব্যবধানে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ প্রতিদিনই হারানো মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিচ্ছেন।তবে ২৩ দিন পেরিয়ে গেলেও, হারানো মোটর সাইকেল ফিরিয়ে দিতে পারেননি থানা পুলিশ। এমনটি জানালেন স্বপন।

স্বপন ইসলাম রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানাধীন মেহেরচন্ডী কড়ইতলা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। ৬ মাস আগে বাবার কিনে দেয়া উপহার ১০০ সিসির কাবহার্ড সিটি বাজাজ লাল কালার মোটর সাইকেল। যার রেজি: নং মেট্টো হ-১৩-১৭৫৫ ।

স্বপন ইসলাম গত ২৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১টা ১০ মিনিটে নিউমার্কেট এলাকার শিরোইল ফাঁড়ির পাশ্বে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের নিচে মোটর সাইকেল রেখে সেবা গ্রহণ করতে প্রবেশ করেন। আনুমানিক ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে অজ্ঞাত নামা ৫ জন লোক মটর সাইকেলের লক কেটে চুরি করে নিয়ে যায়।

জানা গেছে, আইনী প্রক্রিয়া গতিশীল করতে স্বপন ও সংবাদকর্মীরা এই বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন। সিসি ফুটেজ ক্যামেরায় চোরদের দেখা গেলেও মাস্ক পরে থাকায় চিনতে ব্যর্থ হন তারা। তবে, গোপন সূত্রে জানতে পারেন, চোরেরা রাজশাহীর ছোটবনগ্রাম, শালবাগান ও বহরমপুরের একটি গ্রুপ। মোটর সাইকেল খুঁজে পেতে আইনী সহায়তায় ধীরতা ও অবহেলা টের পায় স্বপন।

স্বপনের বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, মোটর সাইকেলটা মূলত ছেলের খুব পছন্দ। মোটর সাইকেল হারিয়ে গেছে। থানায় অভিযোগ করেছে। থানা থেকে কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সিসি ফুটেজ ক্যামেরায় চোর কে দেখা গেছে। চোরকে ধরতে থানা কতটা গুরুত্ব দিয়েছে সেটাই সন্দেহজনক। মনে প্রশ্ন যে, ২৩ দিন হয়ে গেলো। মোটর সাইকেলের যন্ত্রাংশগুলোর খোঁজ থাকবে কি? যেহেতু, হারানোর পর কোনো গুরুত্ব বোঝা যায় নি থানা পুলিশের।

ভূক্তভোগী স্বপন বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটা কথা বলতে চাই। আমার মোটর সাইকেল অনুসন্ধানের কার্যক্রম প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেন দ্রুত শুরু করেন। মোটর সাইকেল না পেলেও চোরকে ধরে আইনী প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্ত শাস্তি প্রদান করুক। যাতে, সামজে চোর যেন না থাকে। চোরের সমাজ চাই না।

ঐ দিনেই আইনগত সহায়হতা পেতে রাজশাহী মহানগর বোয়ালিয়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের গ্রহণ করে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এম শহীদুল্লাহ কায়সার ।

তাঁর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ফোন করা হলে। ফোন ধরতে ব্যর্থ হন।

পোস্টটি শেয়ার করুন