ট্রিবিউন ডেস্ক: আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। লেবানন থেকে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা জারি করে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জনসমাগত সীমিত করতে এবং নির্ধারিত এলাকায় চলাফেরা না করতে নাগরিকদের অনুরোধ করা হলো।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিও এবং দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলি জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য দেশটির উত্তরাঞ্চলে সাইরেন বাজানো হয়েছে এবং উড়োজাহাজ থেকে সতর্ক বার্তা প্রচার করা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বেন গৌরিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেল আবিবগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। তেল আবিবগামী ফ্লাইটগুলো অন্য বিমানবন্দরে পাঠানো হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শোকরের হত্যার প্রতিশোধ নিতে আজ রোববার ইসরায়েলে তিন শতাধিক রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, প্রথম দফায় তারা ১১টি ইসরায়েলি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ৩২০টি কাতিউশা রকেট ছুড়েছে। প্রথম দফার হামলা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেও দাবি করেছে লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠীটি।
এ হামলার পরপরই আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে ইসরায়েলের। এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীগোষ্ঠী হামাসকে সমর্থন দিয়েছে ইরানপন্থী হিজবুল্লাহ। গত জুলাইতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েল বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শোকর।
ফুয়াদ শোকরের হত্যাকাণ্ডের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে হিজবুল্লাহ।