

ট্রিবিউন ডেস্ক: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে নিহতদের স্মরণে কলকাতা প্রেসক্লাবে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
স্মরণ সভার প্রধান বক্তা রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান বলেন, সেই গ্রেনেড হামলার ১৮টি বছর অতিবাহিত হলেও সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও মুছে যায়নি বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয় থেকে। আজও বাংলাদেশের মানুষ স্মরণ করে সেই দিনের শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলার কথা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান বলেন, ‘সেই গ্রেনেড হামলায় দায়ী ও মাস্টারমাইন্ড আজ পালিয়ে বিদেশে রয়েছেন। এটা দুঃখের কথা। আমরা চাই, সেদিনের সেই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’
তিনি আরো বলেন- আগস্ট মাসেই ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগের উপরে আঘাতটা আসে এবং চক্রান্ত হয় সরকার উৎখাতের। আমার কাছে মনে হয় ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস, সেই পাকিস্তান প্রেমিরা, তাদের সেই পাকিস্তান আর নেই, বাংলাদেশ হয়ে গেছে। এই গাত্রদাহ থেকে হয়তো একটা কিছুর পরিকল্পনা করে। আর পরের দিনই ভারতের স্বাধীনতা দিবস। দুটি দিবসকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, প্রতিক্রিয়াশীল চক্র, সাম্প্রদায়িক শক্তি, যাদের বিএনপি-জামায়াত নামে আমরা চিনি বা মৌলবাদী যত গোষ্ঠী আছে বাংলাদেশে, সকলের টার্গেট থাকে যে, এই মাসে শক্তি প্রদর্শন করতে হবে।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিক খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক আমরা সবাই চাই। নির্বাচনে তারা যদি আসে তবেই তারা বুঝতে পারবে তারা কোন জায়গাতে আছে। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তারা এগিয়ে নাকি আমরা এগিয়ে সেটার বোঝার একমাত্র মাপকাঠি তো নির্বাচন। আমরা চাইবো তারা নির্বাচনে এসে পরীক্ষা দিক।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর এর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন -বাংলাদেশের মহিলা সংরক্ষিত আসন-১১ এর সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী, বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর আহ্বায়ক সৌম্যব্রত দাস।
অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়রপত্নী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ সভা শেষে কলকাতা প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ‘বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র’ পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।