রাবি প্রতিনিধি :যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই)-এর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। তালিকায় এশিয়ার সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। যেখানে রাবিসহ দেশের মোট ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এসেছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিষয়ক সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই'র) ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে রাবির অবস্থান ৪০১-৫০০ এর মধ্যে।

জানা গেছে, শিক্ষার মান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত, গবেষণার মান ও সাইটেশনের হার, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ অন্য কয়েকটি সূচকের ভিত্তিতে এই র‍্যাংকিং করা হয়ে থাকে। র‍্যাংকিংয়ের বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ৩য় স্থান অধিকার করেছে।

তালিকা থেকে জানা যায়, এযাবৎ যত এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং প্রকাশ করেছে তাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সালে প্রকাশিত এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিয়ের দেশের ১৫টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিলেও নাম আসেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের।

তার আগে, ২০২২ সালে দেশের মোট ৬টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসলেও তালিকাভুক্ত হয়নি প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এ শিক্ষালয়ের। এছাড়া ২০২১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত সব র‍্যাংকিং ঘেঁটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো এই র‍্যাংকিংয়ের দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নাম উঠল এ বিদ্যাপীঠের।

এ বিষয়ে অফিস অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক আজিজুর রহমান শামীম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো এই র‍্যাংকিংয়ে নিজের অবস্থান অর্জন করে নিয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। আশা করি, পরবর্তীতে এই র‍্যাংকিংয়ে আমরা ডে বাই ডে উন্নতি করব, আরো ভালো অবস্থানে যাব। র‍্যাংকিংয়ে ভালো করতে যেসকল তথ্য লাগবে সেগুলো আমরা প্রতি বছরই হালনাগাদ করব।

উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের নভেম্বরে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া-প্যাসিফিক’ শীর্ষক কনফারেন্সে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সেখানে টাইমস হায়ার এডুকেশনের গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকর্তাদের সাথে র‍্যাংকিংয়ে রাবির অবস্থান উন্নয়নের মাধ্যমে বৈশ্বিকমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে তিনি সেই লক্ষ্যে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তারই ধারাবাহিকতায় র‍্যাংকিংয়ের এই অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।