ট্রিবিউন ডেস্ক: দুই দিন কম হলেও জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছে ৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বেশি। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। যা আবার গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।
গত নভেম্বর থেকেই গড়ে ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসার কারণ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, এবিবি’নেতা ও অর্থনীতিবিদেরা।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, প্রবাসী আয় খাতে সুদিন কি আবার ফিরলো? জানুয়ারির পর ফেব্রুয়ারিতেও এখাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি কি তাই ইঙ্গিত দিচ্ছে?
৩১ দিনের মাস জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিলো ২১০ কোটি ডলার। আর এবার লিপইয়ারে ২৯ দিনের ফেব্রুয়ারিতেও জানুয়ারির তুলনায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার বেশি এসেছে। আর গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এটি ৬০ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ-এবিবি’র সাবেক নেতা এবং এমটিবির সিইও ও এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বললেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়ে শিথিল ও উৎসাহমূলক বিধিমালা এবং বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করার পদক্ষেপগুলো কাজ দিতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হকও বলছেন, কিছুটা দেরিতে হলেও রেমিট্যান্স প্রবাহে আবার টেকসই ঊর্ধ্বমুখী ধারায় এসেছে। যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর ব্যংকগুলোর তৎপরতারই ফসল।
তিনি বলেন, সরকার অনেকদিন ধরেই বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে- এখন তারই ধারাবাহিকতায় সুফল মিলছে।
আর্থিকখাতের এই বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ ফারুক মঈনউদ্দীন মনে করেন, এই ধারা ধরে রাখতে হবে। আর পাচার হওয়া অর্থও যদি এখন প্রবাসী আয় হিসেবে দেশে ফেরত আসে সেটিও খারাপের কিছু নয়।
রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, জানুয়ারিকে ছাপিয়ে ফেব্রুয়ারিরেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, জানুয়ারিকে ছাপিয়ে ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ প্রবাসী আয় এসেছিলো ২ হাজার ১শ’ ৩০ কোটি ডলার। ২০২৩-এ তা ৩ শতাংশ বেড়ে হয় ২ হাজার ১শ’ ৯০ কোটি।
বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নতুন কোন দুর্ঘটনা না আসলে ২০২৪-এ রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিতে বড় উল্লম্ফন আশা করছে সবাই।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মু. আতিকুর রহমান সুমন
Copyright © 2025 চাঁপাই ট্রিবিউন. All rights reserved.