বাংলাদেশিদের জন্য ফের উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৪

ট্রিবিউন ডেস্ক: বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আবার উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার। দেশটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগে সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) কুয়েতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা যায়। দেশটির নতুন এই নিয়ম ১ জুন থেকে কার্যকর হবে।

অভিবাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হলে কুয়েতের শ্রমবাজারে খুব সহজে অধিক কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে। এদিকে বিদেশে কর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (রিক্রুটিং এজেন্সি) সূত্রে জানা গেছে, কুয়েতের শ্রমবাজারে বিদেশি কর্মী প্রেরণে এক ধরনের বিধি-নিষেধ দিয়েছিলো দেশটির সরকার।

এরই মধ্যেই বিভিন্ন নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ কুয়েতে কর্মী পাঠাত। যার ফলে এই প্রক্রিয়াটি ছিলো অধিক ব্যয়বহুল ও জটিল। এতে খুব অল্পসংখ্যক কর্মী কুয়েতে যেতে পারতেন।

তবে পূর্বের নিয়মের পরিবর্তন আনছে কুয়েত সরকার। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যের বরাতে জানা যায়, কর্মীসংকট দূর করতে এবং কর্মী নিয়োগের খরচ কমাতে সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছে দেশটি। কুয়েতের শ্রম বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আগের পদ্ধতিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১ জুন থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে।

কুয়েত সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার শ্রমবাজারে প্রবাসী কর্মী নেওয়ার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, দেশটির যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেবে, তাদের প্রথমে কুয়েতে অবস্থানরত বেকার বিদেশি কর্মী থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এরপর তাদের কর্মী চাহিদার একটি নির্দিষ্ট অংশে শুধু নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে। ১ জুন থেকে এই নিয়ম আর থাকছে না।

এ বিষয়ে দীর্ঘদিন কুয়েতে কর্মী পাঠানো আবুল ব্রাদার্স ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম জানান, কুয়েতে সব সময় লামানার বিপরীতে কর্মী পাঠানো যায়। (বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে ওই দেশের মালিকপক্ষ কুয়েতের শ্রম মন্ত্রণালয় বরাবর একটি আবেদন করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েতের শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়, যাকে লামানা বলা হয়)। লামানা খুব ব্যয়বহুল হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী যেতে অনেক খরচ হয়। অনেক সময় দেখা গেছে, এই নিয়মগুলো পালন করে যেতে যেতে চুক্তির মেয়াদ থাকে না।’

এই লামানার নিয়মটি ব্যয়বহুল বলে কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলোও জানিয়েছে। তাদের প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, এই পদ্ধতির কারণে দেশটিতে শ্রমব্যয় অনেক বেড়ে গেছে, ভোক্তা পর্যায়ে যার প্রভাব পড়েছে। এদিকে অভিবাসনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই লামানার নিয়মটা পরিবর্তন করে বাংলাদেশের জন্য কুয়েতের শ্রমবাজার পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হলে এ দেশ থেকে কর্মী পাঠানো অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন