ট্রিবিউন ডেস্ক: বিআরটি প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভার খুলে দেয়ার পর স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে গাজীপুর চৌরাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের। দূরপাল্লার যানবাহনের চালকদের দাবি, ফ্লাইওভার খুলে দেয়ায় সবচেয়ে বেশি স্বস্তিতে আছেন তারা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী চালকরা জানান, আগে যে পথ পাড়ি দিতে তাদের একঘণ্টা যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হত, ফ্লাইওভার খুলে দেয়ার পর সেই রাস্তা পাঁচ মিনিটে পার হতে পারছেন তারা। কারণ মহাখালী থেকে ছেড়ে এসে এই এলাকায় আগে দীর্ঘ যানজট পারি দিতে হত অকারণেই কারণ এসব এলাকায় যাত্রীর জন্য তাদের দাঁড়ানোর প্রয়োজন না থাকলেও যানজটের কারণে আটকে থাকতে হত।
তবে ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় নতুন সমস্যারও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, কোনোরকম সুরক্ষা ডিভাইডার ছাড়া পাশাপাশি চারটি লেন দিয়ে যান চলাচলের সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাই অচিরেই সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তাদের।
রোববার বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন-৩ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-গাজীপুর রুটে নির্মিত সাত ফ্লাইওভার আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
এ ফ্লাইওভার গুলোর মধ্যে রয়েছে এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), জসীমউদ্দিন ফ্লাইওভার, ইউটার্ন-১ গাজীপুর ফ্লাইওভার, ইউটার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ভোগড়া ফ্লাইওভার ও চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নানা ঝামেলায় এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন এটি শেষের পর্যায়ে। এ বছরের জুন নাগাদ এটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
__একাত্তর টিভি
প্রকাশক ও সম্পাদক: মু. আতিকুর রহমান সুমন
Copyright © 2025 চাঁপাই ট্রিবিউন. All rights reserved.