

ট্রিবিউন ডেস্ক: মিয়ানমারে চলমান সংঘাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে এবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সে দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ ( বিজিপি) ৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে ডুকে পড়েছে। তাদেরকে বিজিবি’র হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তারা প্রবেশ করেন। পরে তাদেরকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেন হোয়াইক্যং বিওপি।
সীমান্ত পারের লোকজন ও সংশ্লিষ্টরা আরও বেশ কিছু বিজিপি প্রবেশ করবেন বলে আশঙ্কা করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমারে যেসব ক্যাম্প রয়েছে সেখানে কোনো প্রকার খাদ্যদ্রব্য পৌঁছাতে পারছে না। সেই সঙ্গে বিদ্রোহীদের অব্যাহত আক্রমণে কাবু হয়ে পড়েছেন বিজিপির সদস্যরা। তাই তারা প্রাণ বাঁচাতে এ পারে চলে আসছেন।
এই যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিজিপির সদস্যরা প্রবেশ অব্যাহত রাখবেন বলেও ধারণা টেকনাফ সীমান্তে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বিজিবি ও গ্রামবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মঙ্গলবার দিনগত রাতে বেশ গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও বুধবার সকাল থেকেই শান্ত হতে শুরু করে সীমান্ত। বেলা ১১টা নাগাদ মাঝে মধ্যে গুলির আওয়াজ শোনা গেলেও এরপর থেকে হোয়াইক্যং সীমান্ত শান্ত রয়েছে। তবে দুপুরের দিকে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের ৬৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে তাদেরকে বিজিবি নিরস্ত্র করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ভোর থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা না গেলেও দুপুরের দিকে হঠাৎ করে বেশ কিছু বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
বিজিবি রামুর সেক্টর কমান্ডার মেহেদি হাসান বলেন, হোয়াইক্যং পয়েন্ট দিয়ে বুধবার ৬৪ জন বিজিপির সদস্য প্রবেশ করেছেন। তাদেরকে নিরস্ত্র করে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
__আরটিভি