

ট্রিবিউন ডেস্ক: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের একদিকে পাহাড় অন্যদিকে অপরুপ সমুদ্র সৈকত। পাহাড় আর সমুদ্রের মাঝখানে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে দিনে দিনে। এই গুরুত্বপূর্ণ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, প্রথম ধাপে ১২ শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কের কক্সবাজার শহরের কলাতলীর পর থেকে উখিয়ার পাটুয়ারটেক পর্যন্ত ৩০.৪ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্থ করা হবে।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিন জানান, ‘১২ শ’ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে ভূমি অধিগ্রহণে এবং বাকি ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে রেজুখাল ব্রিজ এবং ছোট-বড় ব্রিজ নির্মাণসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সমুদ্র সুরক্ষায়।’
প্রকৌশলী শাহে আরেফিন আরো জানান, ‘১৮ ফিট থেকে সড়কটি ৩৪ ফিটে উন্নীত করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১১৩ দশমিক ২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৭ লাখ ২৪ হাজার ঘনমিটার মাটি ভরাট, ২৯ দশমিক ৪২ কিলোমিটার ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও শূন্য দশমিক ৩২ কিলোমিটার ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট বাঁক সরলীকরণ কাজ। এছাড়াও ছয় হাজার ৪৮০ মিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, ৬৩ হাজার ৭২০ বর্গমিটার জিও টেক্সটাইলসহ সিসি ব্লক স্থাপন, ৫৪ হাজার ৩৬০টি টেট্রাপড নির্মাণ, ৯ হাজার ১২০ বর্গমিটার রোড মার্কিং, ইউটিলিটি স্থানান্তর, রেজুখালের উপর দুই লেনের একটি সেতু নির্মাণ (৩০৫ মিটার) এবং মেরিন ড্রাইভের নিরাপত্তায় ৬০৮টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। একইসাথে ৯ হাজার ১৮০ মিটার এল ড্রেন ও ১৩ হাজার ৯৪ মিটার ইউ ড্রেনের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থাও নির্মাণ করা হবে বলেও জানান সওজের এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ জুন প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। আশা করা হচ্ছে, সড়কটি প্রশস্থকরণের মাধ্যমে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, পর্যটন শিল্পের প্রসার এবং প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি।