চাঁপাইনবাবগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পাঁচ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত, আটক ১৭

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১:০৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২২

ডিএম কপোত নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সফল ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলেও ৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যার পর মহারাজপুর আকুন্দবাড়িয়া ভোট কেন্দ্র এলাকা ও ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়, সংঘর্ষ থামাতে গেলে পাঁচ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয় এবং উভয় ঘটনায় ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ।

জানাগেছে, সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের আকুন্দবাড়িয়া ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সালামের লোকজন হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশের উপর ইটপাটকেল ও ককটেল ছুঁড়লে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

রাতে ঘটনাস্থল থেকে ওসি (তদন্ত) মিন্টু রহমান জানান, আকুন্দবাড়িয়া ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সালামের লোকজন ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ককটেল বিস্ফোরণ করে। পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে সেখান থেকে চাকুসহ ২ জন যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এর প্রস্তুতিও চলছে।

অপরদিকে, ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষে পুলিশের মোটরসাইকেল ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়।

রাত সাড়ে ৮ টার সময় ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, হোসেনডাঙ্গার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এর প্রস্তুতিও চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং এলাকায় পুলিশ উপস্থিত আছে।

জানাগেছে, নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনি ও আব্দুল কুদ্দুস সেরাতাল এবং তাদের লোকজন বিজয়ী প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করার পরিকল্পনা করে। শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে বিজয়ী প্রার্থী শরিয়তের বাড়ির দিকে এগিয়ে আসে। শরিয়তের বাড়িতে যাবার আগেই হোসেনডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গেলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা করে তারা।

নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য শরীয়ত আলী জানান, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলার কথা জানতে পেরে পুলিশ উপস্থিত হয়। এসময় তারা পুলিশের উপর হামলা করে। পুলিশের একটি মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলে তারা। এমনকি এঘটনায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সায়েদা সুলতানা জানান, ৩ জন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা খুবই গুরুতর হওয়ায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা দেয়া হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন