বাগমারায় আ’লীগের পৌর মেয়র কর্তৃক নৌকা বিরোধী চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা, নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে নিজ অফিসে ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন তাহের পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ। এনিয়ে এলাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান নৌকার বিদ্রোহী রেজাউল করিমকে বৃহস্পতিবার ৬ জানুয়ারি দুপুরে পৌরসভার নিজ অফিসে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন তিনি। এমন ছবি সোসাল মিডিয়ায় আসলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

গতরাত থেকেই বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সোসাল মিডিয়ায় স্টাটাস দেন।

স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী জাফর সাদিক এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেন, “যারা নৌকায় সমর্থন করে,যারা বঙ্গবন্ধুকে নিজের ভেতর লালন করে, তারা নৌকার বিপক্ষে যেতে পারেনা। নিজের স্বার্থে যারা দলকে বিতর্কিত করে, তাদেরকে নৌকার ছায়াতলে না রাখাই উত্তম।”

নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী ও নিজে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েও নৌকা বিরোধী বিজয়ী চেয়ারম্যান কে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করার মাধ্যমেই সবার সামনে প্রমানিত হলো বাগমারা উপজেলার ইউপি নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবির পিছনে কারা জড়িত।

এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম বলেন; মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রেজাউল করিম বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিস্কার করে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ। দল থেকে বহিষ্কৃত ও নৌকার বিদ্রোহী বিজয়ী প্রার্থীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া সংগঠন বিরোধী কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে। পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদের দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী এই বিষয় নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য,গত ৫ জানুয়ারি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের নির্বাচনে ১১ টি ইউনিয়নেই নৌকার পরাজয় ঘটে। মাত্র ৫ টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। উপজেলায় নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ হিসেবে দলের ভেতরের বিদ্রোহীকেই দায়ী করছেন নেতাকর্মীরা।

পোস্টটি শেয়ার করুন