জননন্দিত নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন: শেখ হাসিনার কাছে নির্ভরতার প্রতীক

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৫:০২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২৩

আতিকুর রহমান সুমন: সময়ের সাথে সাথে তিনি তাঁর চারিত্রিক গুণাবলী ও কর্মগুণে রাজশাহীর জনমানুষের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আপনজন হিসেবে। জীবন হারানোর ঝুঁকি নিয়ে শত প্রতিকূলতার মাঝে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন তিনি। দীর্ঘ ৪০ বছরে নীতি ও নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক মুক্ত থেকে ধারাবাহিক পরিশ্রম করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। শুধু বৃহত্তর রাজশাহী নয়, গোটা উত্তরবঙ্গের জনমানুষ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে এক বটবৃক্ষ হয়ে আলোর বাতিঘর তিনি। সেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ও জনমানুষের নেতা হলেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সেই সাথে প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যার যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহযাত্রী হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হয়ে উঠেছেন নির্ভরতার প্রতীক।

সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া খায়রুজ্জামান লিটন বিএনপি জামাত অধ্যুষিত এই অঞ্চলে তৃণমূল আওয়ামী লীগ থেকে শুরু বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত ও বৈরী পরিবেশ মোকাবেলা করে আজ তিনি উপমহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর দুবারের মেয়র হিসেবে প্রমাণ করেছেন তাঁর যোগ্যতা ও নেতৃত্ব গুণ। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া রাজশাহী এখন শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ নগরী।

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আনুগত্য নিয়ে অনেকটাই নীরবে নিভৃতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সময়ের পরিক্রমায় ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র সব জায়গায় সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন সফলতার সাথে।

তিনি জনমানুষের মাঝে হঠাৎ করে আবির্ভূত হননি। প্রায় একশত বছর ধরে এই বৃহত্তর এই রাজশাহীর হাল ধরেছেন লিটনের পরিবার। তাঁর পূবসূরীরাও নিজেদের নিয়োজিত করেছিলেন মানুষের সেবায়। চার পুরুষ ধরে এই অঞ্চলের মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তাঁর রয়েছে বংশীয় আভিজাত্য।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের দাদার বাবা হাজী লাল মোহাম্মদ দু’বার অবিভক্ত বাংলার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য (এম.এল.সি) নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি রাজশাহী এসোসিয়েশন ও বরেন্দ্র একাডেমীর একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন।

তাঁর দাদা আব্দুল হামিদ বৃটিশ আমলে মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন রাজশাহী অঞ্চলের মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলাদেশ ও পরে পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

শুধু তাই নয় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা বাংলাদেশে প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রাণ, দূর্যোগ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী। শিল্প মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম জাতীয় সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি জাতীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ছাড়া এখন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের কেউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হননি। দলের সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেন।

এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা খুনি মোস্তাক সরকারের সর্বোচ্চ লোভনীয় পদ প্রত্যাখান করে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। তবুও বঙ্গবন্ধু ও তাঁর রক্তের সাথে বেইমানি করেননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাত্র আড়াই মাস পর তাঁর বিশ্বস্ত সহচর জাতীয় চারনেতাকে জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি।

জনমানুষের সেবায় নিয়োজিত সম্ভ্রান্ত এই বংশের চতুর্থ প্রজন্মের প্রতিনিধি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর যখন জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা হয় তখন তিনি ও তার ছোট ভাই কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্র। শৈশব থেকেই বঞ্চিত ছিলেন বাবার স্নেহ থেকে, বাবা সবসময় ব্যস্ত থাকতেন সংগঠন ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে। সেই বাবাকে শেষবারের মতো দেখা ও জানাজা পড়ারও সুযোগ হয়নি তাঁর।

বুকভরা কষ্ট আর শোকের মধ্যেই ১৯৭৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর সকল বাধা বিপত্তিকে এড়িয়ে পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের অপূর্ণ কাজকে পূর্ণ করতে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশে ফিরে আসেন, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সক্রিয় হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে।

    বর্তমান রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও তাঁর ছোট ভাই ১৯৭৫-১৯৮০ সাল পাঁচ বছর দেশে আসতে পারেন নি। কলকাতায় খবরের কাগজে ৭৫ এর ৩রা নভেম্বর নারকীয় জেল হত্যাকান্ডের খবর জানেন তারা। আসতে চাইলেও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাদের আসতে দেওয়া হয়নি। জেল হত্যাকান্ডের পর তাঁর মাতা জাহানারা জামান চার মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ী রাজশাহী চলে আসেন। রাজশাহীতে এসেও অনেক কঠিন সময় পার করতে হয় তাদের।

    ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজশাহীতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির উত্থান ঘটে। ঐসময় খায়রুজ্জামান লিটনের বোনেরা যখন স্কুল কলেজে যেতো তখন তাদের নানান ভাবে উত্ত্যক্ত করা হতো, সেই সময়ে পরিবারে কোন পুরুষ অভিভাবক ছিলো না। তাদের বাড়িতে বিভিন্ন সময় ইট পাটকেল ও বিভিন্ন নোংরা দ্রব্য ছুড়ে মারা হতো, এভাবে সেই পরিবারের সদস্যদের প্রতি অমানুষিক নির্যাতন চলানো হয়। বিশেষ করে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের বিএনপি গঠনের পর রাজশাহীর রাজনীতিতে রাজাকার আলবদরসহ স্বাধীনতা বিরোধী চক্র মূল নেতৃত্বে চলে আসে। এদের কারণে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের পরিবারের জন্য রাজশাহী আরো বেশি কষ্টকর হয়ে গেছিলো।

এমন এক পরিস্থিতিতে ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও তাঁর ছোট ভাই দেশে ফিরে আসেন। ছোট ভাইকে বুয়েটে ভর্তি করিয়ে তিনি রাজশাহীতে থেকে যান। তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। এসময় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তাঁকে নানানভাবে হুমকি দিতে থাকে, যেন তিনি আওয়ামী লীগ বা অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে না সম্পৃক্ত হন। এমনকি বাসায় কারা আসবে না যাবে সেসব বিষয়েও চাপ প্রয়োগ করা হতো। কখনও কখনও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হতো। নিজ ভিটেবাড়ি ছেড়ে শহরের একাধিক স্থানে বাড়িভাড়া করে থাকতে হয়েছে নিরাপত্তার কারণে।

১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে রাজশাহীর অবস্থা ছিলো থমথমে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের শক্তি একবারেই কোণঠাসা। সর্বত্র একক আধিপত্য স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির। এই অপশক্তি চেয়েছিলো জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধির চিন্তা এবং প্রগতিশীল রাজনীতির কবর রচনা করার একটি হীন, ঘৃণ্য ও জঘন্য প্রচেষ্টার বাস্তবায়ন। যদিও ১৯৮১ সালে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়।

আওয়ামী লীগের হাল ধরেই তিনি জাতীয় চারনেতার পরিবারকে নিজের কাছে নেন। যাঁরা কোন প্রলোভনে জীবনের ভয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানি করেননি। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিজের ছোট ভাই দাবি করে তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসার জন্য মাতা জাহানারা জামানের কাছে অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৮৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। যদিও ১৯৭৮ সাল থেকেই কলকাতায় থেকে পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়ে যান। সেই থেকে এখন অবধি নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দল ও মানুষের সেবা থেকে এক মহূর্ত বিরতি নেননি।

দলের ক্ষেত্রে তাঁর মধ্যে একটা বিষয় সবসময় লক্ষ্য করা গেছে তা হল শেখ হাসিনার প্রতি তাঁর আবেগ, ভালোবাসা এবং আনুগত্য। পিতার মতোই তিনি তাঁর আদর্শের সঙ্গে কখনো বেইমানি করেননি। জাতীয় চার নেতার সন্তান এই প্রভাব দেখিয়ে দলের মধ্যে কর্তৃত্ব তৈরি করার প্রয়াসও তার রাজনৈতিক জীবনে দেখা যায়নি। বরং নীরবে নিভৃতে তিনি তাঁর এলাকার জনগনের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন।

জাতীয় চার নেতার সন্তানদের মধ্যে যারা জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক তারকা ছিলেন; মোহাম্মদ নাসিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুজনেই প্রয়াত হয়েছেন। আর তাজউদ্দীন আহমেদের পরিবারের সোহেল তাজকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করা হলেও তিনি জাতীয় রাজনীতিতে একজন বড় তারকা হয়ে উঠতে পারেননি। তাজউদ্দীন আহমেদের কন্যাকে সংসদ সদস্য করে গত জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করলেও তিনি রাজনীতিতে এখন পর্যন্ত সম্ভাবনার চিহ্ন জাগাতে পারেননি। একমাত্র শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনই এখন জাতীয় পর্যায়ে তারকা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। যিনি প্রতিনিয়ত নিজের আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছেন তৃণমূলের মাঝে। অসহায় ও সাধারণ মানুষের মাঝে পরিনত হয়েছেন আলোকবর্তিকা হিসেবে।

    বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে; “খায়রুজ্জামান লিটন নি:সন্দেহে শেখ হাসিনার কাছের মানুষ ও আপন ভাই এর মতো এটা আওয়ামী লীগের সকলেই জানেন। তাঁর প্রতি শেখ হাসিনার আলাদা স্নেহ ভালোবাসা রয়েছে। জাতীয় চারনেতার অন্য পরিবারের মতোই তাঁর জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির দরজা সবসময় খোলা। যেকোন সমস্যা নিয়ে তিনি সরাসরি চলে যেতে পারেন।
    তবে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এই পরিচয় দিয়ে তিনি বাড়তি সুবিধা দলে বা সরকারে নেওয়ার চেষ্টাও করেন না, কোন অহমিকাও নেই। বরং তিনি নীরবে কাজ করে যান সংগঠন ও সাধারণ মানুষের জন্য। এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক সকল পটপরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে বিশ্বস্ত হিসেবে থেকেছেন।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জানেন যে, কখনো যদি সংকট আসে- যেমন সংকট এসেছিল ২০০১ সালে কিংবা ২০০৭ সালে। সেই সংকটে যারা তাঁর পাশে দাঁড়াবেন, প্রথম সারিতেই থাকবেন এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তাই নি:সন্দেহে বলা যায় তিনি যতটা আওয়ামী লীগের নেতা, তাঁর চেয়ে বড় বিষয় তিনি শেখ হাসিনার কাছের বিশ্বস্ত মানুষ এবং একান্ত অনুগত রক্তের ভাই এর মতো।

দীর্ঘ ৪০ বছরে রাজনৈতিক অনেক পালাবদল গিয়েছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হয়েছে অনেক ষড়যন্ত্র। সব প্রতিকূল পরিবেশে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
তাইতো তিনি সগৌরবে মাথা উঁচু করে বলতে পারেন;

“আমার পরিবারের সেই রক্ত, যে রক্ত বেইমানি করতে জানে না। বাবা বঙ্গবন্ধুর জন্য আনুগত্যের খড়গ নিয়ে দেশপ্রেমকে স্বাগত জানিয়ে জীবনই দিয়ে গেছেন। আমি তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার ভাই হিসেবে তার জন্য জীবন সঁপে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।”

___________________
লেখক:
সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
সাবেক সহ-সভাপতি ও উপ-দপ্তর সম্পাদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

পোস্টটি শেয়ার করুন