শেখ হাসিনার জয় ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৪

ট্রিবিউন ডেস্ক: বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পঞ্চমবারের মতো শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ হিসেবে দেখছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

ভারতীয় গণমাধ্যম মিন্ট গতকাল রবিবার ‘বাংলাদেশের নির্বাচন : ভারতের জন্য শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ার অর্থ কী?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের নির্বাচন ভারতসহ অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে আরো দৃঢ় হয়েছে।
বর্তমান জাতীয় নির্বাচনে তাঁর জয় ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

মিন্ট বলছে, দুটি দেশ একটি দীর্ঘ সীমানার ভাগিদার। এর অর্থ হলো দুটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা তাদের প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি ‘চমৎকার সময়’ উপভোগ করছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের দীর্ঘ পরিসর, তাও অরক্ষিত, অনুপ্রবেশ, মানবপাচার ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে উৎসাহিত করার পথ সহজ করে তোলে। নদী, পুকুর, কৃষিক্ষেত্র, গ্রাম এমনকি ঘরবাড়ির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্ত রয়েছে, যার ফলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য সীমান্ত পাহারা দেওয়া কিছুটা কঠিন।

ভারতীয় গণমাধ্যমটি আরো বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা তাঁর মেয়াদে বিদ্রোহী, সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির মাধ্যমে ভারতকে নিরাপত্তার বোঝা কমাতে সাহায্য করেছেন। ইউরেশিয়া রিভিউ অনুসারে, বাংলাদেশ ‘গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রেখেছে।’

এদিকে বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের সঙ্গে নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবেলায় সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর করে।

মিন্টের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে আগের সরকারগুলো নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত সরকারকে এতটা সমর্থন করেনি। বাংলাদেশে খালেদা জিয়া সরকারের আমলে সন্ত্রাসবাদ ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।

ভারতের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০০৪-০৫-এর উদ্ধৃতি দিয়ে মিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘ভারত সময়ে সময়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও’ বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন