‘নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা সৃষ্টিতে কাজ করছে সরকার’: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৪

ট্রিবিউন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলতেন “মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তিটাই সব থেকে বড়”। একটি মেয়ে যদি নিজে আয় করে, দশটি টাকাও যদি সে আয় করে সংসারে ফেরে তবে সেই সংসারে তার একটা অবস্থান থাকে, মতামত থাকে। অর্থাৎ নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা সৃষ্টি করতে হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বর্তমান সরকার।’

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসে’র আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জায়গায় বাংলাদেশের মেয়েরা সাফল্য পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা আমাদের একটা সংবিধান দিয়েছেন, সেই সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছেন। নারীদের চাকরি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা নির্দিষ্ট করেছেন, চাকরির ক্ষেত্রে যাতে নারীরা সমান সুযোগ পেতে পারে। সংসদের সংক্ষরিত নারী আসন দিয়েছিলেন যাতে করে নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে।’

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারীদের জন্য প্লট বরাদ্দের ব্যবস্থা থাকছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘মেয়েদের সুযোগ দিলে পারবে না, এটা আমি মানতে রাজি না। মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ, নারীকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিলে তারা সব পারবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী কোথাও মেয়েদের সুযোগ ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সেই সুযোগ করে দিয়েছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীরা সবচেয়ে বেশি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারাই সুনাম বয়ে আনছেন বাংলাদেশের।’

এর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে জয়িতা সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মাননা পেয়েছেন— ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

পোস্টটি শেয়ার করুন