

ট্রিবিউন ডেস্ক: রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সরকারপ্রধান এমন নির্দেশনা দেন।
বৈঠকটি রাজধানীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। একনেক চেয়ারপারসন হিসেবে এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বড় কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আসলে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নিজেরা নিজেদের দায় বুঝবে। অর্থ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বাড়বে। নিজস্ব অর্থেই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেয়া সম্ভব হবে।
এদিন একনেক বৈঠকে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি লাখ টাকা। এ অর্থের ৫২০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব। বাকি ৩৬০ কোটি টাকা উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ। অনুমোদিত প্রকল্পর মধ্যে আটটি নতুন এবং দুটি পুরনো প্রকল্পের সংশোধন। একনেকে উত্থাপিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। একই সময় প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সরকারের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ সচিব পদমর্যাদার অন্যান্য সদস্যগণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
শেয়ারবাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা সচিব বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করবে। কোন প্রতিষ্ঠান কীভাবে শেয়ারবাজারে আসতে পারে, তা খতিয়ে দেখবে মন্ত্রণালয়।
সরকার ২০০৭ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে পাওয়ার গ্রিড, ডেসকো, তিতাস গ্যাসসহ পাঁচটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে আরও কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়।