Rajshahi University Short stories : রাবিয়ানদের ছোটগল্পের গল্প

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২২

মানুষের জীবনের বাঁকে বাঁকে পড়ে থাকে হাজারো না বলা কথা, যা এক পর্যায়ে গল্পে রূপ নেয়। কিছু গল্প এঁকে দেয় জীবনকে। আবার কিছু গল্প স্মৃতি হয়ে রয়ে যায় মানসপটে। বিশেষ করে ক্যাম্পাস লাইফের সেই গল্পগুলো তো আরো বেশি করে স্মৃতির দরজায় কড়া নাড়ে। তো কেমন হয় যদি সে গল্প গুলো বলার জন্য দারুণ কোন মাধ্যম থাকে? আর বর্তমান সময়ে তো ফেসবুকের থেকে বেশি জনপ্রিয় আর কোন মাধ্যম নেই যা দ্বারা সহজে মানুষের কাছে পৌছানো যায়। এই উদ্দেশ্য নিয়েই যাত্রা শুরু Rajshahi University Short Stories ফেসবুক পেইজটি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস নিয়ে অনুভূতি, ভাবনা ছোট গল্প আকারে প্রকাশ করার জন্যে ‘Rajshahi University Short Stories’ পেইজটির যাত্রা শুরু হয় তৌফিক (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগ, ২০১৯-২০ সেশন) ও সাব্বির (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৯-২০ সেশন) এর হাত ধরে।

সকালের সূর্যটি প্যারিস রোডের গগনচুম্বী শিরিশ গাছের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয়ার ঠিক পরপরই ক্যাম্পাসে দিনের সূচনা হয়। তৎপরবর্তী সময়ে ক্লাসের পাঠ, বন্ধুদের আড্ডা, একসাথে বসে দুপুরের খাওয়া, বিকেলে চারুকলায়, সন্ধ্যায় পরিবহন মার্কেটের আমতলায় বসে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্রের আলাপ কিবা গিটারের তার হতে সৃষ্ট গানে কান পেতে রাখা। এইতো ক্যাম্পাসের দিন, যা স্মৃতিতে মিশে হয়ে যায় অম্লান।ক্যাম্পাসের স্মৃতি কখনই ভুলবার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ব্যস্ত কর্মজীবনেও হঠাৎ করে প্যারিস রোডের কথা স্মরণ করে বিষন্ন হয়ে যায় মন কিংবা টুকিটাকির ধোঁয়া উঠা চায়ের চুমুকের প্রতি এক অকৃত্রিম ভালবাসা রয়ে যায়। ক্যাম্পাস তো তার সারথীদের এভাবেই মায়া বিলায়। এমন রাবিয়ানদের হাজারো অব্যক্ত গল্প পেইজটিতে দেখা যায়।পেইজটিতে গল্প পাঠানোর জন্য রয়েছে খুবই সহজ উপায়। পেইজে মেসেজ আকারে লেখাটি পাঠালে তা ছাপার জন্য বিবেচিত হয়।সব মিলিয়ে খুব অল্প সময়েই পেইজটি এখন রাবিয়ানদের মধ্যে জনপ্রিয়। গুটি গুটি পায়ে পেইজের ফলোয়ারের সংখ্যা এখন ১০ হাজার।

জীবনকে রঙিন করে সাজাতে, নতুন আগামীকে সম্ভাষণ জানাতে গল্প হোক মাধ্যম। স্মৃতির আকাশি পাতায় বন্দি থাকুক সময় গুলো গল্পের মাধ্যমে, ছড়িয়ে পড়ুক ৭৫৩ একর হয়ে পৃথিবী জুড়ে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের না বলা গল্পগুলো বেঁচে থাকুক। স্মৃতির মহাসমুদ্রে রণতরী হয়ে ভাসুক।

______________
সজীব মেহেদী,
সমাজকর্ম বিভাগ, রাবি।

পোস্টটি শেয়ার করুন