শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ বিজ্ঞপ্তির প্রস্তুতি

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২৩

ট্রিবিউন ডেস্ক: সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শূন্যপদ থাকলেও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পেরেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। দেড় লাখের বেশি চাকরিপ্রার্থী আবেদন করলেও প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য কাউকে সুপারিশ করা যায়নি। এসব শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনটিআরসিএ।

জানা গেছে, নারী কোটায় কাঙ্ক্ষিত প্রার্থী না পাওয়া, কঠিন বিষয়ে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া এবং চাকরিতে আছেন এমন ইনডেক্সধারীরা আবেদন করতে না পারায় বিপুলসংখ্যক পদ ফাঁকা রয়ে গেছে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য যোগ্য কোনো প্রার্থী নেই। কোনো বিষয়ে পদ থাকলেও আবেদন কম, আবার কোথাও পদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আবেদন পড়েছে। আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত সুপারিশ হয়তো ঈদের পর করে দেব।

তিনি বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি এবং চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আসন পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ হলে কিছু করা যায় কি না সেটিই ভাবছি। নইলে তো প্রার্থী পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া শূন্যপদ পূরণে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার চিন্তা আছে আমাদের। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এমপিও নীতিমালায় নারীদের কোথাও ২০ শতাংশ আবার কোথাও ৩০ শতাংশ নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এর ব্যতিক্রম করার সুযোগ নেই। যদি এ বিষয়টি নীতিমালা থেকে তুলে দেওয়া হয়, তাহলে হয়তো সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইংরেজি, আইসিটি, বিজ্ঞান, মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি এবং নারী কোটার সংরক্ষিত পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। এর ফলে আমরা ৩৫ হাজার ৭২৯টি পদে কাউকে সুপারিশ করতে পারিনি। এসব পদ পূরণে কিছুটা ছাড় দিয়ে দ্রুত বিশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এর আগে বিজ্ঞপ্তিতে নারী পদ বেশি ফাঁকা ছিল। এবারও তাই হয়েছে। এটি কীভাবে পূরণ করা যায় সেজন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাওয়া হবে।

জানা গেছে, সারা দেশে শূন্যপদ পূরণ করতে গত ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ নিয়োগ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে দেড় লাখের বেশি আবেদন পড়ে। গত ১২ মার্চ এই ফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ৩২ হাজার ৪৩৮ জন নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন। এখনো ফাঁকা রয়েছে ৩৫ হাজার ৯৫২টি পদ।

এনটিআরসিএ থেকে জানা গেছে, ৬৮ হাজার ১৬৭টি শিক্ষকের শূন্যপদের মধ্যে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার ৮৮২টি শূন্য রয়ে গেছে। ১-১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করা সর্বোচ্চ ৩৫ বছরধারীরা এ নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন