অবশেষে দু’দিন পর গোমস্তাপুরে জমিতে সেচের পানি পেতে শুরু করেছে কৃষকরা

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

গোমস্তাপুর প্রতিনিধি: অবশেষে ২ দিন পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে বড়বিলের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি পেতে শুরু করেছে কৃষকরা।

শুক্রবার সকালে ওই এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সরজমিনে দেখা যায়, বিএমডিএর গোমস্তাপুর জোনের আওতায় রামদাস সেতুর নিচে পূনর্ভবা নদী থেকে একটি সেচ পাম্পের(মর্টারের) মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে আকারির বাঁধ (খাঁড়ি) হয়ে সেচের পানি ওই এলাকায় অবস্থিত ৫ টি এলএলবি পাম্পের মাধ্যমে জমিগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

এদিকে, নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার বিকেলে পূনর্ভবা নদীতে ড্রেজার দিয়ে খনন শুরু করেছে বিএমডিএ।

রড়বিল এলাকার এলএলবি পাম্প চালক ইউপি সদস্য মজলু মিয়া জানান, বিএমডিএ খালে গত কয়েকদিন যাবত পানি সরবরাহ না করায় আমরা কৃষকদের জমিতে পানি সরবরাহ করতে পারছিলাম না। শুকবার সকাল থেকে পুনরায় সেচের পানি সরবরাহ চালু হওয়ায় জমিতে সেচের পানি দেয়া শুরু করেছি।তবে এ পানিতে তেমন কিছু হবে না বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, সেচ সংকটের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ায় কতৃর্পক্ষ একটু নড়েচড়ে বসেছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএমডিএ গোমস্তাপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব পানির উৎস মুখ পরিদর্শন করেছেন।

এছাড়া, শুক্রবার বিএমডিএ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী ফোনে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। পূনর্ভবা নদী ও খালগুলো খনন করে জমিতে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন ওই এলাকার কৃষকরা।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটর আনোয়ার হোসেন জানান, নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গত ২ দিন যাবত ওই এলাকায় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সেচপাম্পগুলো নদীর পানির কাছাকাছি নিয়ে সন্ধ্যা থেকে পানি উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। আজ বা কালকের মধ্যে আরেকটি মেশিন পানির কাছাকাছি নিয়ে পানি উত্তোলনের চেষ্টা করা হবে।

প্রসঙ্গত: বৃহস্পতিও শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেচের অভাবে শতশত বিঘা জমির বোরোধান হুমকির মুখে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন