নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিকের পুনঃনির্বাচিত মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘স্মার্ট রাজশাহী গড়ার জন্য আমরাও আগ্রহী। কোভিড-১৯ এর কারণে এর কাজটি ব্যহত হয়েছে। এবার আমরা সেটি করতে যাচ্ছি। নাগরিকরা অনলাইনে ঘরে বসে সিটি কর্পোরেশনের অনেক সেবা নিতে পারবে। রাজশাহীকে দেশের মধ্যে প্রথম স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের কনফারেন্স রুমে ‘স্মার্ট রাজশাহী সিটি’ বিষয়ক আলোচনা সভা ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পুনঃনির্বাচিত মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো: সাইফুল ইসলাম ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ.বি.এম. শরীফ উদ্দিন স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে রাজশাহী সিটির রূপান্তর নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন; রাজশাহী ও আশপাশের জেলা পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ। এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের অভাব। তবে ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। কোথায় কী লাগবে সবদিকে তিনি দৃষ্টি রাখেন। রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক গড়ে দিয়েছেন। এখানে অনেক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, অনেক ফ্রিল্যান্সার তৈরি হচ্ছে, আগামীতেও হবে।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্নক্ষেত্রে রাজশাহী সিটির অনেক অর্জন রয়েছে। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন পরপর তিনবার প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ইপিআই কার্যক্রমে টানা ১১বার দেশসেরা, দুইপার পরিবেশ পদক অর্জন করেছি। এই অর্জন ধরে রেখে রাজশাহীকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
