এক কোটি শিশুকে সহায়তা দেবে গ্রামীণফোন-টেলিনর-ইউনিসেফ

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৩

ট্রিবিউন ডেস্ক: ইউনিসেফ বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন ও টেলিনরের মধ্যে এক নতুন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তির নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবে বাংলাদেশের ১ কোটিরও বেশি শিশু।

এই অংশীদারিত্বের আওতায়, ‘ডিজিটাল সাক্ষরতা শক্তিশালীকরণ এবং বাংলাদেশে শিশুদের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার’ শীর্ষক একটি উদ্যোগ চালু করা হবে। উদ্যোগটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ডিজিটাল সাক্ষরতার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা গড়ে তোলা ও ডিজিটাল পরিসরের ক্রমবর্ধমান সমস্যা এবং সম্ভাবনাগুলো বিবেচনা সাপেক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ, নৈতিক এবং দায়িত্ব¡শীল ব্যবহারে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

এ নিয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু যেন নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠে এবং সহিংসতা, অপব্যবহার, অবহেলা ও শোষণ থেকে সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ইউনিসেফ।

৮ম এবং ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ৪২ লাখ শিক্ষার্থীসহ দেশের ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকৃত হবে। তাদের মধ্যে বিশেষ-চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ ঝুঁকিতে থাকা ১০ লাখ শিশুকে প্রকল্পটির ডিজিটাল শিক্ষার যাত্রায় অগ্রাধিকার দেয়া হবে। পাশাপাশি, ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত আরো ৬০ লাখ শিক্ষার্থী বয়সভেদে অনলাইন নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার ওপর একাধিক সেশনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, অনলাইন নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতাকে আমাদের শিক্ষার সাথে সম্পৃক্তকরণ নিশ্চিত করা আমাদের শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য একটি অঙ্গীকার।

টেলিনর এশিয়ার হেড অব সাসটেইনিবিলিটি ইয়োহ্যান মার্টিন সিল্যান্ড বলেন, কানেক্টিভিটির সুযোগ ও সম্ভাবনা উন্মোচনে ডিজিটাল দক্ষতা ও অনলাইন সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগটিকে পরিসর, ব্যাপ্তি এবং প্রভাবের দিক থেকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে টেলিনর এশিয়া, গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফের একসাথে কাজ করা এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন