

ট্রিবিউন ডেস্ক: আরিফিন শুভ অভিনীত প্রথম সিনেমা দেখেছিলাম ‘ছুঁয়ে দিলাম মন’। দর্শকপ্রিয় এ সিনেমায় শুভ দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। পরবর্তী তাঁর বেশ কিছু সিনেম দেখা হয়। এরমধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের সিনেমাগুলো হলো – ঢাকা অ্যাটাক, আহারে, তারকাঁটা, সাপলুডু, মিশন এক্সট্রিম, ব্ল্যাক ওয়ার ইত্যাদি। এছাড়া ওটিটিতে উনিশ২০ পছন্দের কাজ। সম্প্রতি দেখলাম শ্যাম বেনেগাল নির্মিত ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার। আর আরিফিন শুভ রীতিমতো চমকে দিয়েছেন। মুজিব চরিত্রে পরিপূর্ণরূপে মিশে গিয়ে সুপারবোল্ড অভিনয় করেছেন। যাকে বলা যায় মেজিক্যাল পারফর্মেন্স!
আরেফিন শুভ একজন পরিপূর্ণ অভিনেতা তা আগেই প্রমাণ দিয়েছেন। কিন্তু উনি যে ৩ ঘণ্টা স্ক্রিনে বসিয়ে রেখে বিশ্বাস করিয়ে রাখবেন যে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান, জাস্ট অকল্পনীয়! সব সন্দেহ দূর করে, ভেঙে দিয়ে আরেফিন শুভ একটা ক্যারিয়ার ডিফাইনিং পারফর্মেন্স দিয়েছেন। মনের অজান্তে কখন জানি আরেফিন শুভর জায়গায় আমি শেখ মুজিবকেই দেখতে শুরু করলাম। হোয়াট অ্যা মেজিক্যাল পারফর্মেন্স ম্যান! শেখ মুজিবের কিশোরবেলা, ছাত্র জীবন থেকে শেখ মুজিবের নেতা হয়ে ওঠা -প্রতিটা সিকোয়েন্স এতটাই নিখুঁত ছিলেন শুভ জাস্ট অসাধারণ। আর পরিণত মুজিব চরিত্রে বলার মত ভাষা নেই। হুবহু বঙ্গবন্ধু বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। অনেক গুজবাম্প সৃষ্টি করা দৃশ্য রয়েছে শুভর। যেখানে আপনি শুভ ও বঙ্গবন্ধুর মাঝে তফাৎ করা কষ্টসাধ্য হবে। ৭ মার্চের ভাষণের সময় মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্ঠ বসিয়ে দিল! ওহ মাই গড!
চলচ্চিত্রে আরিফিন শুভ এখন জনপ্রিয় তো বটেই, আস্থারও এক নাম। যাকে যেকোনো চরিত্রে রাঙিয়ে তোলা যায়। দীর্ঘ ক্যারিয়ার শুভ অনেক দর্শক নন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তবে লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হলো, একটা চরিত্র থেকে আরেকটা চরিত্রে শুভ নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। আর মুজিব চরিত্রটি তো বাংলা চলচ্চিত্রে আলাদা একটা চরিত্র হয়ে থাকে যুগের পর যুগ। সামনে আসবে নূর, ফুটবল-৭১ এবং আরও প্রজক্ট। চলচ্চিত্রের জন্য শুভর এই ডেডিকেশন অব্যাহত থাকুক।
(A Zaman এর ফেসবুক স্টাটাস থেকে)