চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গায় বয়স্ক ভাতার ভুয়া কার্ড দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে স্বতন্ত্র প্রার্থী টিপু

Chapai Chapai

Tribune

প্রকাশিত: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শাহীদ রানা টিপুর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন ভোটারদের ভোট নেওয়ার জন্য অবৈধভাবে ভুয়া বয়স্ক ভাতার কার্ড দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। ছড়াচ্ছে কালো টাকা। ভোটারদের হুমকি দিয়ে নিজের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করা সহ বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করার চেষ্টা করছে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীদ রানা ওরফে টিপু সুলতান।

    ভোট চাওয়ার সময় বিভিন্ন জনকে বয়স্ক ভাতার নাম করে ভুয়া কার্ড দিয়েছে। যা আমাদের প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়াই বিভিন্ন জনের নামে কার্ড তৈরি করা। জনৈক সাজেদা বেগম নামে কার্ডে দেখা যায় সমাজসেবা কর্মকর্তার কোন সিল স্বাক্ষর নেই।

    উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নাসির উদ্দীনকে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি। তবে সমাজসেবা অফিসের অন্যান্যদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া, সমাজসেবা কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়া কোন কার্ডের বৈধতা নেই।

তাছাড়া ভোটের সময় এভাবে কার্ড দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আইন বহির্ভূত।

শাহীদ রানা টিপুকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ

‌অনুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীদ রানা ওরফে টিপু সুলতান একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেলার ৪৩ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে সে। শুধু মাদক ব্যবসা নয় তার নামে রয়েছে স্বর্ণ চোরাচালান ও হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ। ‘টিপুর বিরুদ্ধে আইয়ুব হত্যা মামলাসহ মাদকের তিনটি মামলা রয়েছে। হত্যা ও মাদক মামলায় সে গ্রেফতার হয়ে কারাগারেও যায়। সেই সময় এলাকার মানুষ ইয়াবা সম্রাট টিপু গ্রেফতার হওয়াতে পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা যথাযথ যেন বিচার হয় টিপুর সে দাবিও জানিয়েছিলো কর্তৃপক্ষকে।

মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধভাবে রাতারাতি প্রচুর টাকার মালিক হওয়া শাহীদ রানা টিপু নির্বাচনে কালো টাকা ছড়িয়ে যাচ্ছে। তার শোডাউনে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে।বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আইনি পদক্ষেপ নিতে গেলে কালো টাকার জোরে তাদের কেউ তার বেশ্যতা স্বীকার, আবার উল্টো কাউকে বদলিও হতে হয়েছে।

শাহীদ রানা টিপু কে প্রকাশিত সংবাদ

জেলার সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নের ইয়াবা হেরোইন ব্যবসা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে। তার ছত্রছায়ায় এই ইউনিয়ন হয়ে উঠে জেলার শীর্ষ মাদক জোন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাইকেল চোর সন্দেহে বাজার থেকে এক যুবককে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যানের নিজস্ব ঘরে বেধড়ক পেটায় শাহীদ রানা টিপু। এই ঘটনায় স্থানীয়রা এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক বলে শাস্তির দাবি করেন।

গত ৫ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রায় শাহীদ রানা টিপু তার ‘টর্চার সেল’ এ ১৩৬ জনকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে।

এলাকার সচেতন ও গুণীজনরা জানান, শাহীদ রানা ওরফে টিপু সুলতান চেয়ারম্যান হলে আবারও এই অঞ্চলে মাদক ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিনত হবে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের তালিকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাচালান কারী আবারও চেয়ারম্যান হলে ইউনিয়ন বাসীর জন্য লজ্জার।

পোস্টটি শেয়ার করুন